মেয়াদ শেষের আগেই চুনারুঘাট পৌরসভায় নির্বাচনী হাওয়াসম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী ৬ ॥ কাউন্সিলর ৫৪ভোটার ১১ হাজার ১’শ ৯৫ পুরুষ ভোটার ৫ হাজার ৬’শ ১১ মহিলা ভোটার ৫ হাজার ৫’শ ৮৪
ইসমাইল হোসেন বাচ্চু : তফসিল ঘোষণা কিংবা নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ না হলেও চুনারুঘাট পৌরসভায় সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় সরব হয়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতসহ বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা ইতিমধ্যে নিজেদের মতো প্রচারণায় নেমেছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীদের পোষ্টার, ব্যানার ও পেষ্টুনে চেয়ে গেছে পৌরসভার অন্তর্ভূক্ত গ্রাম, পাড়া ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে। মূলত গত ঈদ-উল ফিতর ও ঈদ-উল আযহা উপলক্ষ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের পদচারণা ও কুশল বিনিময় শুরু হয়। শারদীয় দূর্গাপূজো উপলক্ষ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও তোড়ণনির্মাণ লক্ষণীয়। সম্ভাব্য অধিকাংশ প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন লাভের আশায় উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে শীর্ষনেতাদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ আগের তুলনায় বাড়িয়েছেন বলে মনে হচ্ছে। চুনারঘাট পৌরসভায় এ পর্যন্ত মেয়র পদে সম্ভাব্য প্রার্থীসংখ্যা ৬ জন এবং কাউন্সিলর পদে সম্ভাব্য প্রার্থীসংখ্যা ৫৪ জন। সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে কোন প্রার্থীদের প্রচারণা এখনও লক্ষ্য করা যায়নি। জননন্দিত মেয়র আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে শূন্য হওয়া চুনারুঘাট পৌরসভার উপ নির্বাচনে এক বছর সাতাশ দিনের জন্য নির্বাচিত হয়ে নাজিম উদ্দিন শামছু একজন মেয়র হিসেবে ভোটারের কাছে আলাদা ইমেজ সৃষ্টি করেছেন। তিনিও আগামী নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হবেন এটা পুরোপুরি নিশ্চিত। মেয়র পদে সম্ভাব্য অন্যান্য প্রার্থীরা হলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম রুবেল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিল্লুর কাদির লস্কর রিমন, জামায়াতে ইসলামীর চুনারুঘাট উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সায়েব আলী, জাতীয় পার্টি হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক খায়ছারুল গণির সহোদর আলহাজ্ব এস. কে ইফতেখারুল গণি খায়রু, চুনারুঘাট বাজারের ব্যবসায়ী ও জাতীয় পার্টির নেতা আব্দুস সালাম তালুকদার। বর্তমান মেয়র নাজিম উদ্দিন শামছু বেসরকারি সংস্থা আশার একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন। উপ-নির্বাচনে তিনি চুনারুঘাট পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। তার পিতা আলহাজ্ব মুসলিম উদ্দিন চুনারুঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের তিন বারের চেয়ারম্যান ছাড়াও চুনারুঘাট উপজেলা উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। চুনারুঘাট হাসপাতালের জমি দান ও স্কুল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা সহ নানা উন্নয়ন কর্মকান্ডে তার অবদান উল্লেখযোগ্য। তিনি প্রয়াত মেয়র আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলীর চাচাতো ভাই। মোঃ সাইফুল আলম রুবেল ছাত্রলীগ চুনারুঘাট উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং চুনারুঘাট আওয়ামীলীগের সামধারন সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আবু তাহের এর ভাতিজা। তার পিতা মোঃ আঃ সালাম উপজেলা শিক্ষক সমিতির আজীবন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আলহাজ্ব জিল্লুল কাদির লষ্কর রিমন হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল কাদির লষ্করের পুত্র। জামায়াত নেতা মীর সাহেব আলী আমকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। উল্লেখ যে, ২০০৫ সালে চুনারুঘাট পৌরসভা ঘোষণা করা হয়। ১০ আগষ্ট মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশে আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী পৌর প্রশাসক মনোনীত হন। ২০১১ সনের ১৮ জানুয়ারী চুনারুঘাট পৌরসভার প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী মেয়র পদে নির্বাচিত হন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস তিনি ২০১৪ সনের ১০ অক্টোবর সিলেটের একটি হাসপাতালে হৃদ যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। ফলে চুনারুঘাট পৌরসভার মেয়র পদটি শূন্য হয়ে যায় এবং ২৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনের মেয়াদ হবার তারিখ ২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারী । উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানাযায়, চুনারুঘাট পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ১’শ ৯৫। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ হাজার ৬’শ ১১ এবং মহিলা ভোটার ৫ হাজার ৫’শ ৮৪। দলীয় প্রতীকে নিবার্চন হলে অবশেষে কার হচ্ছেন মেয়র প্রার্থী এবং কে হবেন চুনারুঘাট পৌরসভার ৩য় মেয়র এ মহুর্তে বলা মুশকিল।
Share on Facebook
Leave a Reply