শরবত বিক্রেতার স্ত্রীর পলায়ন প্রেমিকসহ ৩ জন শ্রীঘরে

জুয়েল চৌধুরী ॥ প্রেমিকা বালিকা নববধূকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েও রক্ষা পায়নি নাঈম আহমেদ (১৫) নামের এক কিশোর। গত বৃহস্পতিবার বিকালে হবিগঞ্জ পৌর বাস টার্মিনাল এলাকার একটি রেস্টুরেন্ট থেকে ওই প্রেমিকার বান্ধবীসহ আরো ৩ জনকে আটক করা হয়। প্রেমিকা নববধূর স্বামী শরবত বিক্রেতা সাদ্দাম হোসেন (১৬) জনতার সহায়তায় তাদের আটক করে। পরে তাদের গণধোলাই দিয়ে প্রেমিক-প্রেমিকাসহ ৩ জনকে হবিগঞ্জ সদর থানায় সোপর্দ করা হয়। আটককৃতরা হলো লাখাই উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের মুর্শেদ আলীর পুত্র কিশোর প্রেমিক নাইম আহমেদ ও নুরুল ইসলামের পুত্র তার বন্ধু মুজিবুর রহমান (১৭) ও বাচ্চু মিয়ার পুত্র জসিম উদ্দিন (১৬), প্রেমিকা নববধূ সনেস্বর গ্রামের সফিকুল ইসলামের কন্যা ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী সুলতানা (১৩) ও তার বান্ধবী একই ক্লাসের ছাত্রী তারা মিয়ার কন্যা সালমা (১২)। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সনেস্বর গ্রামের সফিকুলের সুন্দরী কন্যা সুলতানার সাথে এক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে তারই খালাতো ভাই নাইমের। বিষয়টি চাওর হলে সুলতানার ইচ্ছার বিরুদ্ধে রাতের আধাঁরে তড়িঘড়ি করে প্রতিবেশী শরবত ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন (১৬) এর সাথে তাকে বিয়ে দেয়া হয়। সেখানে জোরেবলে সাদ্দাম সুলতানাকে নিয়ে সংসার করতে থাকে। এদিকে কিশোরী প্রেমিকা সুলতানা তার প্রেমিক নাইমের সাথে প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকে। অবশেষে গত মঙ্গলবার রাতের আঁধারে নাইম, তার দুই বন্ধু, সুলতানা ও তার বান্ধবী বাড়ী থেকে বের হয়ে আসে। তারা সিলেটে দুই দিন থাকার পর বৃহস্পতিবার মাজার জিয়ারত শেষে বিকেলে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। বিকাল ৪টার দিকে হবিগঞ্জ পৌর বাস টার্মিনাল এলাকায় একটি রেস্তোরায় বসে গল্প-গুজব করছিল। কিন্তু বিধি বাম। সুলতানার স্বামী শরবত ব্যবসায়ী সাদ্দাম তা দেখে ফেলে। সে শোর চিৎকারের মাধ্যমে লোকজনকে জড়ো করতে থাকে। স্থানীয় লোকজন প্রেমিক নাইমসহ তার দুই বন্ধুকে গণধোলাই দিয়ে সদর থানায় সোপর্দ করে। এ ঘটনায় হবিগঞ্জ ও লাখাইয়ে আলোচনার ঝড় বইছে। এ ব্যাপারে সদর থানার এসআই মিজানুর রহমান জানান, অভিভাবকরা আসলে আটককৃতদের তাদেরকে জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হবে।

Share on Facebook

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *